শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়া কেউ বাঁচে না। দেহঘড়ির এই অত্যাবশ্যকীয় এই উপাদান আমাদের স্বাভাবিক জীবন দেয়। শ্বাসকষ্ট মানুষের নিঃশ্বাস কেড়ে নিয়ে তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। তাই যাদের শ্বাসকষ্ট রোগ রয়েছে, তাদের বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।শ্বাসকষ্ট শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে না পারা, শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া, রেসপিরাটরি ডিসট্রেস নামেও পরিচিত। এই রোগীর কষ্টের কোনো শেষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সি মানুষ এই সমস্যায় ভুগতে পারে।
শ্বাসকষ্টের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান
কী কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে
* হাঁপানি বা অ্যালার্জি থাকলে
* ঠাণ্ডা লাগলে অনেকের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়
* এডিনয়েড থাকলে
* অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকলে
* সাইনোসাইটিস, হার্ট ফেইলিওর, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগ দেখা দিলে
* ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)। এছাড়াও বহুবিধ কারণে শ্বাসকষ্টের অনুভূতি হতে পারে। জ্বরসহ বেশ কিছু শারীরিক রোগেও শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর দহন বা মেটাবলিজম বেড়ে যাওয়ার জন্য নিশ্বাসের হার বেড়ে যায়। হাইপারভেন্টিলেশন সিন্ড্রোমের কারণটা যদিও খুব স্পষ্ট নয়, তবে এটার সঙ্গে উৎকণ্ঠা আর এক ধরনের ভয় পাওয়ার
ঘুমানোর জন্য বিছানায় শোয়ার পর কিছু ব্যক্তির শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।
নাকের সমস্যা ও অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে এমন হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট থেকে আরাম পেতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়
* ধূমপান পরিহার করুন। পরোক্ষ ধূমপানও শ্বাসকষ্টের জন্য ক্ষতিকর।
* হাঁপানি থাকলে হাঁপানির চিকিৎসা করান।
* অ্যালার্জি থাকলে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে এমন বস্তু (যেমন- ধুলাবালি) ও খাবার (যেমন- গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, বাদাম ইত্যাদি) এড়িয়ে চলুন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।